আমার বেঁচে থাকার কারণ শুধু তুমি

✍️ লেখক: [Rodela Islam]
📖 পর্ব_০4
Golper Alo ব্লগে আপনাকে স্বাগতম, এখানে আপনি পাবেন সেরা ভালোবাসার গল্প।
👉আমার বেঁচে থাকার কারণ শুধু তুমি
***আদি::-::- কি হয়েছে কি এখানে......?? ***তন্নি::-::- দেখোনা আদি ভাইয়া এই মেয়েটা তোমাকে গুন্ডা বলছে। ***আদি::-::- বলেছে তো কি হয়েছে। ওর ইচ্ছে হয়েছে তাই বলেছে। ***তন্নি::-::- তুমি ওকে কিছু বলবে না....?? ***আদি::-::- না কিছু বলবো না ও যা বলার আমাকে বলেছে তোকে তো আর বলে নাই তাই এসব রেখে তুই তোর কাজে যা। ***তন্নি::-::- আদি ভাইয়া........ ***আদি::-::- যেতে বলেছি তোকে ( রাগি কন্ঠে ) তন্নি চলে গেলে আদি নীলাদ্রিকে বলে ***আদি::-::- সরি কিছু মনে করো না ওর কথায় আর তুমি যা নাম দিয়েছো আমার তাতে সবারই খাবার লাগবে শুনলে আমার মতো ভদ্র ছেলেকে গুন্ডা বলছো এটা কেও মেনে নেবে না। ***নীলাদ্রী::-::- এসেছে ভদ্র হতে আর একবার গুন্ডামী করতে দেখলে ভিডিও করে সবাইকে আপনার ভদ্রতার নমুনা দেখিয়ে দিবো। আর হ্যাঁ আমি সবার কথা এতো গায়ে মাখি না। বলে হনহন করে চলে যায়। ***আদি::-::- মেয়ে তো নয় পুরো ধানিলঙ্কা। ঝগড়া করার জন্য পস্তুত থাকে সব সময়। অনুষ্ঠান প্রায় শেষর দিকে। অনুষ্ঠানের মাঝেই খাওয়া দাওয়া শেষ করা হয়েছে। রাত বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে। নীলাদ্রি তাসনীম এর কাছে এসে বলে ***নীলাদ্রী::-::- ভাইয়া চলো না বাড়ি চলে যায়। ***তাসনীম::-::- কেনো বনু কি হয়েছে। ***নীলাদ্রী::-::- আমার ভালোলাগছে না মাথা ব্যাথা করছে এতো শব্দে। ***তাসনীম::-::- আচ্ছা চল আন্টিকে আর আদিকে বলে চলে যাবো। ***তাসনীম::-::- আন্টি বনুর নাকি মাথা ব্যাথা করছে তাই চলে যাবে বলছে। আমি নাহয় ওদের বাড়িতে দিয়ে পরে আবার আসবো। ****সালমা বেগম::-::- সে কি চলে যাবে কেনো আজ রাতে কোথাও যেতে হবে না ওরা এখানেয় থাক আর আমি বরং নীলাদ্রি মাকে একটা মাথা ব্যাথার ঔষধ দিচ্ছি। ***নীলাদ্রী::-::- না আন্টি আজ থাকবো না এমনিতেই মাথা ব্যাথা করছে তার উপর এতো শব্দ ভালো লাগছে না। আমি নাহয় অন্য কোনো দিন আসবো আবার। ***সালমা বেগম ::-::- এতো রাতে আমি তোদের কোথাও যেতে দিবো না। নীলাদ্রি আর আরশী তোরা আমার সাথে আয় আমি তোদের থাকার ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি। ***নীলাদ্রী::-::- আন্টি........ ***সালমা বেগম ::-::- আর কোনো কথা নয় চল আমার সাথে। তাসনীম ওদের নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না তুই আাদির কাছে যা। সালমা বেগম নীলাদ্রিদের নিয়ে একটা ঘরে যায়। ***সালমা বেগম ::-::- তোরা এখনে ঘুমিয়ে পর। ***নীলাদ্রী::-::- আন্টি আমি তো শাড়ি পরে ঘুমোতে পারি না। ***সালমা বেগম ::-::- তুই বস আমি তোর জন্য ড্রেস আর ঔষধ নিয়ে আসছি। সালমা বেগম নীল রংএর একটা জামা আর ঔষধ দিয়ে যায়। নীলাদ্রি চেন্স করে এসে ঔষধ খেয়ে যেই না শুতে যাবে ওমনি চোখ পরে একটা ছবির উপর। আরশী এতোক্ষণে ঘুমিয়ে পরেছে। নীলাদ্রি পুরো ঘরে একবার চক্কর দিয়ে বুঝতে পারে এটা আদির রুম। ***নীলাদ্রী::-::- শেষে কি না এই গুন্ডাটার রুমে ঘুমাতে হবে আমায়। আচ্ছা গুন্ডাটা এসে যদি আমাকে তার বিছায় দেখে তাহলে কি করবে। আমাকে বকবে নাকি মারবে। কেনো আমি কি নিজে থেকে এসেছি না কি এ ঘরে আন্টি বলেছে বলেয় তো এসেছি। বলে ঘুম পরিদের দেশে পাড়ি জমায়। ******রাত ২:৩০******* অনুষ্ঠান শেষে আদি ওর কাজিন দের সাথে আড্ডা দিয়ে রুমে আসে। দড়জা খুলে ভেতরে খাটের দিকে তাকাতেয় অবাক হয়ে যায়। আদি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। নীলাদ্রির ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। নীলাদ্রির ছোটো ছোটো চুল গুলো চোখের উপর এসে পড়া চুলগুলো আলতো হাতে সরিয়ে দেয়। আদির ছোয়ায় ঘুমের ঘরের কেপে ওঠে। আদি আরকিছুক্ষন নীলাদ্রির পাশে বসে থেকে মনে মনে বিরবির করে ***আদি::-::- কি ব্যাপার পিয়তমা এতো তাড়াতাড়ি নিজের ঘরে চলে এলে। আমিতো ভেবেছিলাম তোমাকে আমার ঘরে এতো তাড়াতাড়ি আনতে পারবো না আর আজ তুমি নিজে আমার ঘরে এবং আমার বিছানায় শুয়ে আছো। কবে যে তোমাকে একেবারে আমার ঘরের রানী করে আনতে পারবো। সুন্দর সপ্ন দেখে সকালে তোমার ঘুম ভাঙুক পিয়তমা। আদি উঠে আলমারি থেকে একটা টাওযার আর গেন্জি নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়। চেন্জ করে এসে একবার নীলাদ্রিকে দেখে রুম থেকে বেরিয়ে চলে যায়। আদি ওর অন্য কাজিন দের সাথেয় থাকে। পরের দিন সকালে পাখিদের ডাকে ঘুম ভাঙে নীলাদ্রির।আর মোর ভেঙে এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজের অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করে। পরক্ষণেই মনে পরে কাল রাতে সে আদির রুমে ঘুমিয়েছে। নীলাদ্রি আরশীকে ডেকে তুলে নিজে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কালকের শাড়িটা পরে নেয়। কারণ এখন সে বাড়ি চলে যাবে। রুম থেকে বের হতেয় আদির সঙ্গে দেখা। ***আদি::-::- কি ম্যাডাম কাল আমাকেয় আমার রুম থেকে বের করে দিলেন। ***নীলাদ্রী::-::- আমি কেনো আপনাকে বের করে দিতে যাবো। আন্টিই তো বললো এই রুমে ঘুমাতে আর আমি জানতাম না এটা আপনার রুম। ***আদি::-::- জানলে কি থাকতে না আমার রুমে। ***নীলাদ্রী::-::- না থাকতাম না। বলে আদিকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় নীলাদ্রি। সালমা বেগম সকালে নাস্তা না করে কিছুতেয় যেতে দিবে না। তাই নাস্তা করে তাসনীম নীলাদ্রিদের নিয়ে বেরিয়ে পরে। ( গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন। গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসবেন। আর পরের পর্ব পেতে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ। ) *******দুদিন পরে****** ********সিকদার বাড়ি******** ****সালমা বেগম::-::- আমি কয়েকদিন থেকে একটা কথা ভাবছি। ***সিফাত সিকদার::-::- কি কথা বলে ফেলো....?? ***সালমা বেগম ::-::- আচ্ছা তাসনীম এর বোন নীলাদ্রিকে কেমন লাগে তোমার......?? ***সিফাত সিকদার ::-::- ভালোই লাগে। কিন্তু কেনো....??? ***সালমা বেগম ::-::- নীলাদ্রিকে যদি আদির বউ করে আনা হয় কেমন হবে তাহলে....?? ***সিফাত সিকদার ::-::- কথাটা খারাব বলো নাই। কিন্তু আদি কিংবা নীলাদ্রি ওরা কি দুজন দুজনে বিয়ে করতে রাজি হবে......?? ***সালমা বেগম ::-::- আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আদি নীলাদ্রিকে পছন্দ করে কিন্তু বলতে পরছে না। ***সিফাত সিকদার ::-::- আদি যদিও নীলাদ্রিকে পছন্দ করে কিন্তু নীলাদ্রি তো ওকে দু চোখে দেখতে পারে না। ***সালমা বেগম ::-::- আচ্ছা আগে আদির সাথে কথা বলে দেখি ও কি বলে। তার পর না হয় নীলাদ্রিদের পরিবারকে জানাবো। আর আমরা জোড় করছি না ওরা না চাইলে হবে না। যতোই হোক সংসার তো ওরাই করবে তাই ওরা না চাইকে আমরা এগবো না। ***সিফাত সিকদার ::-::- আচ্ছা আগে বলে তো দেখো। ***সালমা বেগম ::-::- আদি আজ বাড়ি ফিরলে ওর সাথে কথা বলে দেখি। ******অন্যদিকে****** তাসনীম আজ নীলাদ্রিকে নিয়ে বেরিয়েছে ভার্সিটিতে দিয়ে আসবে বলে। ****তাসনীম::-::- বনু একটা কথা বলি......?? ***নীলাদ্রী::-::- কি কথা বলো না....?? ***তাসনীম::-::- আচ্ছা বনু আদিকে তুই পছন্দ করিস না কেনো..?? ***নীলাদ্রী::-::- কেনো ভাইয়া ওই লোকটার কথা বলছো কেনো....?? ***তাসনীম::-::- আগে বল কেনো এতো অপছন্দ তোর ওকে...?? ***নীলাদ্রী::-::- ওই লোকটার মারামারি করা কিছু হলেয় রাগ দেখানো তার ইচ্ছে জোড় করে অন্যকারো উপর চাপিয়ে দাওয়া এই সব কিছুই ভালোলাগেনা আমার। ***তাসনীম::-::- শুধু এই জন্য। ***নীলাদ্রী::-::- হ্যাঁ। ***তাসনীম::-::- যানিস বনু আমি আজ যেই অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি সেটা কিন্তু শুধু আদির জন্য ও আমার পাশে না থাকলে কোনো দিন পারতাম না এতো কিছু করতে। আম্মু মারা যাওয়ার পরে আব্বু যখন আবার বিয়ে করে। তুই তখন ছোট এতো কিছু বুঝিস না। এবং এই আম্মু এসে আমাদের সাথে যেই অত্যাচার করেছে। তখন নিজের আব্বুও আমার পাশে ছিলো না তখন এই আদি এবং ওর পরিবারের সবাই আমাকে অনেক সাপর্ট করেছে। যার জন্য আমি তাদের কাছে চিরো দিন ঋণি হয়ে থাকবো। আমি যেই বিজনেসটা শুরু করেছি এটার পেছনে আমি যেমন পরিশ্রম করেছি আদিও আমার সাথে থেকে একিরকম পরিশ্রম করেছে। ও মানুষটা খুব ভালো। ওর কাছের মানুষদের জন্য সব কিছু করতে পারে। আর তুই ওকে যেখানে যেখানে মারপিট করতে দেখেছিস সেখানে অপর পাশের লোকটা মোটেও নির্দশ ছিলো না। তাই এক পাক্ষিক বিচার করে ওকে ভুল বুঝিস না। জানিস ওকে যখন বিদেশে পড়ার জন্য পাঠাতে চেয়েছিলো তখন ও শুধু আমার জন্য এখানে থেকে গেছে ওর মনে হয়েছে ও বিদেশ হলে গেলে আমি একা হয়ে যাব তাই ও যায় নি। তাহলে কিভাবে ওকে খারাপ বলবো বলতে পারিস বনু। ***নীলাদ্রী::-::- যানো ভাইয়া ৪ বছর আগে যেদিন উনি আমার সামনে একটা লোককে মেরেছে আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তার আরো অনেক জায়গায় মারামারি করতে দেখেছি তাকে। ***তাসনীম::-::- ৪ বছর আগে ওই লোকটাকে কেনো মেরেছিলো জানিস...?? ***নীলাদ্রী::-::- না কেনো....?? ***তাসনীম::-::- কারন ওই লোকটা তোকে নিয়ে বাজে কথা বলছি তাই মেরেছিলো। ও কোনো অন্যায় সহ্য করতে পারে না আর তাই ও না চাইলেও মারামারি করে ফেলে। আচ্ছা যাই হোক তুই ভার্সিটি যা আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিবো। ***নীলাদ্রী::-::- আচ্ছা। নীলাদ্রি ভার্সিটির ভেতরে চলে গেলে। তাসনীম গাড়ি ঘুরিয়ে অফিসে চলে যায়। নীলাদ্রি ক্লাসে এসে চুপচাপ বসে আছে। তাসনীমের বলা কথাগুলো মাথার মধ্যে ঘোরপাক খাচ্ছে। মনে মনে বলে ***নীলাদ্রী::-::- সত্যি তো সে কারো অন্যায় কাছা কাওকে কিছু বলে না। আর আমার সাথেও কোনো দিন খারাপ ব্যাহবার করে নি তাহলে...... ***শীতল::-::- এই নীশা কি হয়েছে তোর মন খারাপ....?? ***নীলাদ্রী::-::- না কিছু না। ***পাখি::-::- কিছু না হলে এমন চুপ চাপ বসে আছিস কেনো। ***নীলাদ্রী::-::- ও কিছু না এমনি। ওরা ক্লাস শেষ করে কেম্পাসের মাঠে বসে গল্প করছিলো। ***শীতল::-::- নীলাদ্রি আমাকে এবার যেতে হবে আম্মু কল করেছিলো। ***নীলাদ্রী::-::- আচ্ছা আমিও চলে যাবো। এই পীয়াল তুই শীতলকে বাড়ি দিয়ে আয়। ***শীতল::-::- আমি একাই যেতে পারবো। ****নীলাদ্রী::-::- আজকের পর থেকে পীয়াল তুই শীতলকে আর হৃদয় তুই পাখিকে প্রতিদিন বাড়িতে দিয়ে আসবি। আর কেও কোন কথা বলবি না যা বাড়ি যা তোরা কালকে দেখা হবে। পীয়াল শীতকে আর হৃদয় পাখিকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ****সিকদার বাড়ি****** আদি বাড়িতে ফিরেছে অনেকক্ষণ সালমা বেগম ছেলের রুমে যায়। ***সালমা বেগম ::-::- আদি তুই কি ব্যাস্ত.....?? ***আদি::-::- না আম্মু। কিছু বলবে....? ***সালমা বেগম ::-::- হ্যাঁ তোর সাথে কথা আছে। ***আদি::-::- কি কথা বল না। ***সালমা বেগম ::-::- আমি আর তোর বাবা ভাবছি তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো। ***আদি::-::- ( মায়ের পাশে বসে মুখের দিকে তাকিয়ে বলে ) কি বলছো কি তুমি। আমি তো বলেছি আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। ***সালমা বেগম ::-::- আগে আমার কথাটা শোন। মেয়েকে তুই ভালো করেয় চিনিস। ***আদি::-::- কোন মেয়ে......?? ***সালমা বেগম ::-::- আমি তাসনীম এর বোন নীলাদ্রির কথা বলছি। ***আদি::-::- তোমার কি মনে হয় ও আমাকে বিয়ে করবে। ও তো আমাকে সহ্য করতে পারে না। ***সালমা বেগম ::-::- আমরা ওর সাথে কথা বলবো তারপর ওযদি রাজি থাকে তাহলে হবে আর না হয় না। আমার তো মনে হয় তুই নীলাদ্রিকে পছন্দ করিস কি তাই তো। ***আদি::-::- তুমি কি কী করে বুঝলে......?? ***সালমা বেগম ::-::- আমি তোর আম্মু হয়ে তোর মনের কথা বুঝতে পারবো এটা কি করে হয়। ***আদি::-::- আম্মু আমি বলছি কি তোমরা এখনি নীলাদ্রিকে বিয়ের বিষয় কিছু বলো না। ***সালমা বেগম ::-::- এটা আমরা দেখে নিবো আমি শুধু তোর মতামত যানতে এসেছিলাম আর তা যা না হয়ে গেছে। ( গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন। গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসবেন। আর পরের পর্ব পেতে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ। ) #চলবে
Golper Alo ব্লগে আপনাকে স্বাগতম, এখানে আপনি পাবেন সেরা ভালোবাসার গল্প।
👉 ⏪ আগের পর্ব | 👉 ⏩ পরের পর্ব
0 মন্তব্যসমূহ