আমার বেঁচে থাকার কারণ শুধু তুমি

✍️ লেখক: [Rodela Islam]
📖 পর্ব_০2
Golper Alo ব্লগে আপনাকে স্বাগতম, এখানে আপনি পাবেন সেরা ভালোবাসার গল্প।
👉আমার বেঁচে থাকার কারণ শুধু তুমি
*****পরের দিন সকালে***** সিকদার বাড়ি সবাই খাবার টেবিলে বসে খাবার খেতে ব্যাস্ত। **সিফাত সিকদার::-::- আদি আগামী পরশু দিন ওমির এনগেস্টমেন্ট মনে আছে তো তোমার। ***আদি::-::- হ্যাঁ আব্বু তুমি চিন্তা করো না আমি সব সামলে নেবো। ****সিফাত সিকদার::-::তোমার ভরসায় তো আমি নিশ্চিন্তায় বসে আছি। আমি সব গ্রেস্ট দের ইনভাইটা করেছি তোমার কাওকে ইনভাইট করার থাকলে করতে পারো। ***সালমা বেগম ::-::- আদি আমি ভাবছি কি আজ একবার নীলাদ্রিদের বাড়িতে গিয়ে ওদের ইনভাইট করে আসবো। ***আদি::-::- ঠিক আছে যেও। ***সালমা বেগম ::-::- মেয়েটার প্রতি একটা মায়া পরে গেছে। ***আদি::-::- আচ্ছা আম্মু তুমি যেও এখন আমি অফিসে যাচ্ছি। ****সালমা বেগম ::-::- আচ্ছা সাবধানে যাস বাবা। আদি খাবার শেষ করে অফিসের জন্য বের হয়ে যায়। অন্য দিকে নীলাদ্রি সকালের নাস্তা না করেয়। ভার্সিটির জন্য বেরিয়ে গেছে। ভার্সিতে গিয়ে দেখে ওর সব বন্ধুরা চলে এসেছে। **শীতল::-::- কিরে নীশা এতো দেড়ি হলো কেনো....?? **পীয়াল::-::- তুই কোনো দিন দেড়ি করে আসিস না তাহলে আজ দেরি করলি কেনো...?? ***নীলাদ্রী::-::- আগে আমাকে বলতে তো দিবি তোরা তা না তোরাই বকবক করে যাচ্ছিস। ***পাখি::-::- আচ্ছা বল কি হয়েছে। *****ফ্লাশব্যাক******* নীলাদ্রি ভার্সিতের জন্য বের হচ্ছিল। তখন আদি তাসনীমের কাছে একটা দরকারে এসেছিলো। নীলাদ্রি তাড়াহুড়ো করে বেড়োতে যাচ্ছি। আর আদি ফোনে কথা বলতে বলতে আসছিলো আর নীলাদ্রির সাথে হুট করে ধাক্কা লাগে পরে যায়। ***নীলাদ্রী::-::- ওহ্ আল্লাহ আমার কোমড় ভেঙে গেলো কে রে চোখ নেই তোর চোখ কি পকেটে নিয়ে ঘুরিস না কি। উফফফ। ***আদি::-::- আই এম সরি নীলাদ্রি দেখতে পাই নি সরি। ***নীলাদ্রী::-::- ওহ্ আপনি। আমার আগেয় বোঝা উচিৎ ছিলো যে এই গুন্ডাটা ছাড়া আর কেও হবে না। ***আদি::-::- ( হাত বারিয়ে দিয়ে বলে ) নাও হাত ধরে উঠে এসো। ***নীলাদ্রী::-::- বয়েয় গেছে আপনার হাত ধরতে আমি একাই উঠতে পারবো। ( নীলাদ্রি একাই উঠে দাড়ায় কোমরে হাত দিয়ে বলে ) এইযে মি: গুন্ডা আপনার কি কোন কাজ নেই যে সকাল সকাল আমার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছেন। ***আদি::-::- দেখো আমাকে গুন্ডা বলবে না বলে দিচ্ছি। আর আমি কাজেয় এসেছি তোমার ভাইয়ার কাছে আমার একটা ডকুমেন্ট এর ফাইল আছে সেটাই নিতে এসেছি। ***নীলাদ্রী::-::- আমি আপনাকে গুন্ডাই বলবো। নিজে গুন্ডামী করলে দোষ নেই আর আমি বললেয় দোষ একশো বার বলবো। এর মধ্যে তাসনীম এসে জিজ্ঞেস করে ***তাসনীম::-::- কি হয়েছে বনু তুই কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছিস কেনো......?? ***নীলাদ্রী::-::- ভাইয়া তোমার ওই গুন্ডা বন্ধু আমার কোমরটাই ভেঙে দিলো। ***আদি::-::- আমি তো সরি বললাম না দেখে ধাক্কা লেগে গেছে। ***নীলাদ্রী::-::- তা দেখবেন কি করে চোখ থাকলে তো বলবেন। ***আদি::-::- আমি না হয় দেখি নাই। তুমি তো দেখতে পারতে তোমার তো চোখ আছে। ***নীলাদ্রী::-::- আমি তো তাড়াহুড়ো করে বেরোচ্ছিলাম তাই দেখে নি। কিন্তু আপনি তো দেখতে পারতেন। ***আদি::-::- ওহ্ নিজের বেলায় ছোলো আনা তাই না। ***নীলাদ্রী::-::- আপনার সাথে ঝগড়া করার কোন ইচ্ছে নেই না। এমনি তেই দেড়ি হয়ে গেছে। ***আদি::-::- আমারও তোমার সাথে ঝগড়া করার কোনো ইচ্ছে নেই। ***নীলাদ্রী::-::- ধুর বাবা আমি চলে যাই। এখানে দাড়িয়ে সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। ভাইয়া আমি গেলাম। ***তাসনীম::-::- সাবধানে যাস আর কিছু খেয়ে নিস। ***নীলাদ্রী::-::- আচ্ছা। নীলাদ্রি চলে গেলে তাসনীম আদিকে জিজ্ঞেস করে ***তাসনীম::-::- আদি তুই এমন ঝগড়ুটে হলি কবে থেকে। ***আদি::-::- তোর বোনের সাথে ঝগড়া করতে করতে। আচ্ছা আমার ফাইলা দে অফিসে মিটিং আছে। ***তাসনীম::-::- আমাকেও অফিসে যেতে হবে। আদি আজ সন্ধায় আমি বনু আর ঐশী ঘুরতে যাবো তুইও চলে আসিস। ***আদি::-::- আচ্ছা দেখা যাবে। এখন যাই আমি। ***তাসনীম::-::- হুম চল আমিও বেরোবো। *****বর্তমানে**** ***নীলাদ্রী::-::- আর বলিস না ওই গুন্ডাটার জন্য দেড়ি হয়ে গেলো। ***হৃদয়::-::- গুন্ডা মানে আরমান সিকদার আদির কথা বলছিস। ***নীলাদ্রী::-::- হ্যাঁ ওই গুন্ডাটার কথাই বলছি। ***পাখি::-::- নীশা তুই ওই হেন্সাম লোকটাকে গুন্ডা বলছিস। আমার তো বেশ লাগে লোকটাকে। ***নীলাদ্রী::-::- এই পাখি ওই লোকটা প্রসংশা আমার সামনে করবি না বলে দিলাম। ***শীতল::-::- কেনো রে ওনার মতো একটা মানুষ পাইনি বলে এখনো সিংঙ্গেল। ***হৃদয়::-::- কেনোরে আমাদের চোখে পরে না তোদের। ***শীতলা::-::- তোদের সাথে বন্ধুক্ত করেছি এই অনেক হুম। ***নীলাদ্রী::-::- এই তোরা থাম তো এবার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে চল ক্লাসে যাই। ***পীয়াল::-::- হুম চল দেড়ি হয়ে গেলে স্যার বকা দিবে। ওরা সবাই ক্লাসে চলে যায়। ( আপনারা অনেকেই গল্প পরেন অথচ কোনো লাইক কমেন্ট হয় না। আপনাদের যদি গল্পটা ভালো না লাগে তাহলে বলে দিবেন এতো কষ্ট করে আর গল্প লিখবো না। আপনারা রেসপন্স না করলে আমার গল্প লেখার আগ্রহ কমে যায় পরে আর গল্প লিখতে ইচ্ছে করে না তাই আশা করি আপনা রেসপন্স করবেন।আর না হয় বলে দিবেন আর গল্প লিখবো না। ধন্যবাদ ) ( (গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন। গল্পটা ভালোলাগলে মেন অইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসবেন। আর পরের পর্ব পেতে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ। ) ******বিকেলে****** আদির আম্মু সালমা বেগম আর আদির বোন ওমি নীলাদ্রিদের বাড়িতে এসেছে। ****সালমা বেগম ::-::- আপা আগামী পরশু দিন আমার মেয়ের এনগেস্টমেন্ট তাই আপনাদের সবাইকে ইনভাইট করতে এলাম। আপনারা সাবাই কিন্তু চলে যাবেন। ****জাহানারা চৌধুরী :::-::- অবশ্যই যাবো আপনি নিজে ইনভাইট করতে এসেছেন আর আমরা যাবো না তা কি করে হয়। ***ওমি::-::- আন্টি নীলাদ্রিকে একটু ডেকে দিন না। ****জাহানারা চৌধুরী ::-::- আরু মা যাও তো তোমার আপুকে ডেকে এনো। ****আরশী::-::- আচ্ছা আম্মু। আরশী নীলাদ্রিকে নিয়ে নিচে আসে। ***নীলাদ্রী::-::- আসসালামু আলাইকুম আন্টি। কেমন আছো আন্টি.....?? ****সালমা বেগম ::-::- ওয়ালাইকুম সালাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি মা। তুমি কেমন আছো......?? ***নীলাদ্রী::-::- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আন্টি। ওমি আপু তুমি কেমন আছো......?? ***ওমি::-::- আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। (নীলাদ্রিকে নিজের পাশে বসিয়ে বলে ) পরশুদিন আমার এনগেজমেন্ট তাই তোমাদের ইনভাইট করতে এলাম। ***নীলাদ্রী::-::- হ্যাঁ আমি শুনেছি ভাইয়া বলেছে। ****সালমা বেগমা ::-::- নীলাদ্রি পরশু দিন তুমি আর তোমার বোন কিন্তু সকালে আমাদের বাড়িতে চলে যাবে। ***নীলাদ্রী::-::- সরি আন্টি সকালে যেতে পারবো না। পরশু দিন ভার্সিটিতে Exem আছে। তাই সকালে যেতে পারবো না। ***ওমি::-::- তাহলে Exem শেষ করে চলে যাবে দেড়ি করবে না কিন্তু। ***নীলাদ্রী::-::- আচ্ছা আপু চলে যাবো। ****সালমা বেগমা ::-::- তোমার ভাইয়াকে তো বড়িতে পেলাম না ওকে আদিই বলে দিবে। ***নীলাদ্রী::-::- ভাইয়া তো অফিসে একটু পরেয় চলে আসবে। সালমা বেগম আর ওমি কিছুক্ষন গল্প করে চলে যায়। ******সন্ধায়***** নীলাদ্রি আর আরশী রেডে হয়ে বসে আছে ভাইয়ার জন্য। তাসনীম অফিস থেকে ফিরেছে একটু আগে। ***নীলাদ্রী::-::- ভাইয়া তোমার আর কতোক্ষন লাগবে......?? ***তাসনীম::-::- এই হয়ে গেছে বনু আর দু মিনিট। ***নীলাদ্রী::-::- উফফ তাড়াতাড়ি করো ভাইয়া। তাসনীম রেডি হয়ে এসে ওদের নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টেএ যায়। সেখানে আগে থেকেয় উপস্থিত ছিলো ঐশী। ঐশী নীলাদ্রিকে আর আরশীকে জড়িয়ে ধরে বলে ****ঐশী::-::- এতো দেরি হলো কেনো আমি কতোক্ষন থেকে অপেক্ষা করছি। ***নীলাদ্রী::-::- কি করবো বলো ভাইয়ার জন্য দেরি হয়ে গেলো। ****ঐশী::-::- তা আর বলতে এই বাদরটা সব সময় লেট করে। ***নীলাদ্রী::-::- আপু তুমি কিন্তু আমার ভাইয়াকে বাদর বলবে না। আমার ভাইয়া সব থেকে বেস্ট। ****ঐশী::-::- আচ্ছা বাবা আমার ভুল হয়ে গেছে আর বলবো না কেমন। এর মধ্যে সেখানে আদি এসে উপস্থিত হয়। আদিকে দেখে নীলাদ্রি বলে ***নীলাদ্রী::-::- আপনি এখানে কেনো......?? ***আদি::-::- কেনো কোথায় কি লেখা আছি আমি এখানে আসতে পারবো না। ***নীলাদ্রী::-::- ওহ্ অসহ্য কর লোক একটা। ***আদি::-::- তোমার ভাই আমাকে ট্রিট দিবে বলেছে তাই এসেছি। ***নীলাদ্রী::-::- ভাইয়া তুমি এই লোকটাকে কোনো বলেছো। ***তাসনীম::-::- কেনো বনু কি হয়েছে। ***নীলাদ্রী::-::- এটা কিন্তু কথা ছিলো না তুমাকে বলেছিলাম আমরা চারজন একসাথে ঘুরবো তুমি আবার এই লোকটাকে বলতে গেলে কোন। ***তাসনীম::-::- তাতে কি হয়েছে বনু সবাই মিলে একসাথে আড্ডা দেওয়া যাবে। কি খাবি সেটা বল। *খাবার অডার দিয়ে সবাই গল্প করছে। ***নীলাদ্রী::-::- আপু খাবার আসতে আসতে আমরা এই সাইট থেকে ঘুরে আসি ওখান থেকে খুব সুন্দর এই জায়গায়টা। ****ঐশী::-::- আচ্ছা চলো। নীলাদ্রি আরশী আর ঐশী তিন জনে উঠে ওই পাশে যায়। এই দিকে কয়েকটা ছেলে বসে ছিলো নীলাদ্রি দের দেখে ওই দিকে তাকায়। নীলাদ্রির দিকে ললুপ দৃষ্টিতে তাকায়। এটা তাসনীম না দেখলেও আদি ঠিক দেখতে পায়। আদি উঠে ছেলে গুলোর পিছনে গিয়ে দাড়ায়। একটা ছেলে অন্য একটা ছেলেকে বলছে। দেখ মামা চিসটা কিন্তু সেই। একবারে ঝাক্কাস। এটাকে একবার পেয়ে গেলে আর কি লাগে। মামা এটাকে আমার লাগবে মামা এক রাতের জন্য হলেও। ছেলে গুলোর কথা শুনে আদি নিজের রাগ কন্টল করতে পারে না পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়। রাগে দুহাত মুষ্টিবদ্ধ করে। চোখ দুটো আগনিও গিরির লাভার মতো লাল হয়ে যায়। আদি আর সহ্য করতে না পেরে। ছেলে গুলোর সামনে গিয়ে উলোপাথালি মারতে শুরু করে। ***আদি::-::- মেয়ে দের দেখলে মাথা ঠিক থাকে না তাই না। যেই চোখ দিয়ে তোরা মেয়েদের দিকে বাজে নজর দিস আজ সেই চোখ আর থাকবে না। তোদের সাহস হয় কি করে ওকে নিয়ে বাজে কথা বলার। মারতে মারতে ছেলেগুলোর নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তাসনীম এসে আদিকে থাকানোর চেষ্টা করে কিন্তু ব্যার্থ হয়। আদির মার দেখে নীলাদ্রি ভয়ে আরশী হাত চেপে ধরে আছে। তাসনীম অনেক কষ্ট করে আদিকে ছাড়িয়ে এনেছে। ঘামে ভিজে আদির শার্ট শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। তাসনীম এক গ্লাস পানি এগিয়ে দেয় আদির দিকে। ****তাসনীম::-::- কি হয়েছে আদি তুই ওদের এভাবে মারছিলি কেনো। ***আদি::-::- ওরা তোর বোনকে নিয়ে বাজে কমেন্ট করছিলো। আজ ওদের এমন অবস্থা করবো সে আর কোন দিন কোন মেয়ের দিকে তাকানোর সাহস করবে না। ***নীলাদ্রী::-::- দেখলে আপু সাধে কি আমি ঔ লোকটাকে গুন্ডা বলি। এখানে খেতে এসেছে খেয়েদেয়ে চলে যাবে তানা। গুন্ডামী শুরু করে দিয়েছে। ****ঐশী::-::- আমি আদি ভাইয়াকে অনেক দিন চিনি কোন কারণ ছাড়া এমন করে না। নিশ্চয়ই কোন কারন আছে। ****আরশী::-::- আপু আদি ভাইয়া খুব ভালো। কিন্তু আপু তা বিশ্বাস করতেয় চাই না। ****ঐশী::-::- হ্যাঁ ওনার মতো মানুষ হয় না। ***নীলাদ্রী::-::- আপু তুমিও ঔ লোকটার হয়ে কথা বলছো। ****ঐশী::-::- আচ্ছা বাদ দাও চলো টেবিলে ফিরে যাই। ***নীলাদ্রী::-::- আচ্ছা চলো। পরিস্থিতি সাভাবিক হলে খাওয়া দাওয়া করে একটু আড্ডা দিয়ে চলে যায়। তাসনীম ঐশীকে বাড়ি দিয়ে এসে তারপর ওরা বাড়ি যায়। ( (গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন। গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসবেন। আর পরের পর্ব পেতে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ। ) #চলবে
Golper Alo ব্লগে আপনাকে স্বাগতম, এখানে আপনি পাবেন সেরা ভালোবাসার গল্প।
👉 ⏪ আগের পর্ব | 👉 ⏩ পরের পর্ব
0 মন্তব্যসমূহ